
খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় কার্গো আটক


সাতক্ষীরা থেকে কালিদাস রায়
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার সময় স্থানীয় জনতা একটি কার্গো আটক করেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন কবলিত চৌদ্দরশি এলাকায়। ‘আল্লাহর রহমত‘ নামীয় আটক কার্গো মালিক শাহাজাম ওমর।
এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় উক্ত কার্গো আটকের পর বালুমহাল লুটে জড়িতরা এসব গ্রামবাসীকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কার্গো আটককালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাইফুল ইসলাম জানান, চৌদ্দরশিসহ আশপাশের এলাকা মারাত্মক ভাঙন কবলিত। যে কারণে সরকারিভাবে ১৪৩২ সালের জন্য এসব এলাকার কোনো চরকে বালুমহাল ঘোষণা করা হয়নি। বালু লুটের হোতা সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা এস এম জগলুল হায়দারের সুন্দরবন ও বালু বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু কৌশলে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুরের নামে আশাশুনির হিজলিয়া চরের ৫ একর জায়গা বালু উত্তোলনের জন্য অনুমতি পান। অথচ দিনের বেলা আশাশুনির নির্দিষ্ট বালুমহাল হতে বালু কাটলেও রাতে প্রায় ৩০টি বডি ও কার্গো দিয়ে খোলপেটুয়া নদীসহ কপোতাক্ষ নদ হতে বালু লুটে নিচ্ছে বাবু বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় তারা হাজারো এলাকাবাসী তীব্র ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন।
আশরাফ আলী নামের স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, অবৈধভাবে বালু কাটতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বাবু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতাদের নাম ব্যবহার করে তার বিশাল বাহিনী দিয়ে ভাঙন কবলিত এসব এলাকায় বালু তুলছে। নিষেধ করলে বরং নানামুখী হয়রানির ভয় দেখাচ্ছে। বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পরপরই তারা শাহাজান ওমরের মালিকানাধীন সাত হাজার ফুট বালি উত্তোলনের সক্ষমতা সম্পন্ন কার্গো আটক করেন। তিনি অভিযোগ করেন উক্ত কার্গো আটকের পর থেকে মোবাইল ফোনে তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নাঈম ও রমজান ঘরামি নামের দুজন তাদেরকে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমানের সমর্থক পরিচয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে রমজান ঘরামি জানান, তিনি নিজেও ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ